অপারেশন সিন্দুর: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শক্তির প্রদর্শন

Spread the love

কলকাতা,১৬ মে:৭ মে, ভারত একটি অত্যন্ত গোপন ও কৌশলগত সামরিক অভিযান “অপারেশন সিন্দুর” শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে যুক্ত নয়টি স্থানে সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা।

অপারেশনের প্রধান উদ্দেশ্য ও কৌশল

এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিমুখী — একদিকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কাঠামোকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা এবং অন্যদিকে ভারতের অস্ত্র শক্তি, বিশেষ করে দূরপাল্লার আক্রমণ সক্ষমতা প্রদর্শন করা।

৮ মে ড্রোন হামলার মাধ্যমে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তর, কাশ্মীর সংক্রান্ত আইএসআই শাখা, এসপিডি এবং লাহোর, করাচি ও অ্যাটকের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়। যদিও এই ড্রোন হামলাগুলি ব্যাপক ক্ষতি না করলেও, এগুলির উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় অস্ত্রের পাল্লা এবং নির্ভুলতা প্রদর্শন করা।

ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রগুলির একটি — ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র — এই অভিযানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৭ মে বাহাওয়ালপুরে জেইএম কমপ্লেক্সে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়।

এছাড়াও, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি এবং সিন্ধুর জামশোরো জেলার ভোলারি বিমানঘাঁটি সহ পাকিস্তানের মোট আটটি বিমানঘাঁটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হামলার সময় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আকাশ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য সংস্করণ ব্যবহৃত হয়েছে, যা প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার অধিকারী।

ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিক্রিয়া

ড্রোন হামলাগুলির মধ্যে একটি, রাওয়ালপিন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে সংঘটিত হামলায় একজন নিহত হন, যেটি আইএসআই স্থাপনার সংলগ্ন। আরেকজন মারা যান অ্যাটকের এনডিসি কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায়।

সাময়িক যুদ্ধবিরতি

এই অভিযান চলতে থাকে ১০ মে পর্যন্ত। চার দিনব্যাপী পাল্টাপাল্টি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহারের পর, ১০ মে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়, যার ফলে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপসংহার

অপারেশন সিন্দুর ভারতের কৌশলগত সক্ষমতার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। এটি শুধুমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে এভাবে নির্ভুল হামলা চালানো যে বার্তা দেয়, তা শুধু প্রতিবেশী দেশ নয়, গোটা বিশ্বের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।

এই অপারেশন ভবিষ্যতের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও প্রতিরক্ষা কৌশলে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds