নিজস্ব সংবাদদাতা- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবারও প্রবল মাত্রা নিয়েছে। ১ জুন কিয়েভ থেকে রাশিয়ার পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে পাল্টা আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে কিয়েভ সহ একাধিক শহরে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ছবি উঠে এসেছে।
‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিয়েভের ক্লিটসকো ও অবলন এলাকায় ড্রোন হামলার পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে শহরের বিভিন্ন অংশ। এখনও পর্যন্ত কিয়েভে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, খারকিভে আহত হয়েছে ৫ জন শিশু।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে জানান, রাশিয়া রাতভর ওডেসা, দোনেৎস্ক, খারকিভ, সুমি, দ্নিপ্রো ও খেরসনের মতো শহরগুলিতে ১০৩টি ড্রোন এবং একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “এই হামলা প্রমাণ করে, রাশিয়ার লক্ষ্য শান্তি নয়, ধ্বংস।”
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “রাশিয়া বারবার নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা করছে। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তিনি আরও দাবি করেন, এই হামলা পরিকল্পিত এবং নাগরিক এলাকা লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ইহোর ক্লিমেনকো জানিয়েছেন, প্রিলুকি অঞ্চলে ৫ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। খারকিভেও ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এই হামলা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। পাল্টা-পাল্টি হামলার জেরে যে মানবিক সংকট বাড়ছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগও তীব্র হচ্ছে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন