নিজস্ব সংবাদদাতা- সোদপুরের ২৩ বছরের এক তরুণী ভেবেছিলেন, হয়তো এবার স্বপ্নপূরণের পালা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজের ডাক পেয়েছিলেন হাওড়ার ডোমজুড়ে। ফোনে কথা হয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে—নাম আরিয়ান খান। কথা বার্তায় তিনি বিশ্বাসযোগ্যও মনে হয়েছিলেন।
কিন্তু সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। ডোমজুড়ের সেই বাড়িতে পৌঁছনোর পর তিনি বুঝতে পারেন, গোটা বিষয়টাই ছিল ফাঁদ। কোনও ইভেন্ট নেই, নেই কোনও মঞ্চ বা আলো। বরং তাঁকে বলা হয়, বার ডান্সারের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
তরুণী রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার। অভিযোগ, আরিয়ান ও তার মা শ্বেতা খান মিলে তাঁকে ঘরে আটকে রাখেন, মোবাইল কেড়ে নেন, বারবার মারধর করেন। এমনকি তাঁকে দিয়ে জোর করে বাড়ির কাজ করানো হয়। অত্যাচারের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাঁর শরীরে ক্ষতের চিহ্ন, মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়, এবং গোপনাঙ্গে রড ঢোকানোর মতো ভয়ঙ্কর চেষ্টাও করা হয়।
তবুও হার মানেননি তিনি। এক ভোররাতে, সাহস করে পালিয়ে নিজের সোদপুরের বাড়িতে ফেরেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ডোমজুড় ও খড়দহ থানার যৌথ তল্লাশি অভিযানেও ধরা পড়েনি অভিযুক্ত মা-ছেলে। পুলিশ তাদের খোঁজে তৎপর।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন