নিজস্ব সংবাদদাতা – ভারতের ধনীতম ব্যক্তি বলতেই সবার আগে মনে আসে মুকেশ আম্বানির নাম। তবে ঠিক তাঁর পরেই রয়েছেন গৌতম আদানি। এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani) ভারতের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হলেও, তাঁর বার্ষিক বেতন শুনলে অবাক হবেন অনেকেই। আদানি গোষ্ঠীর মালিক হয়েও তিনি অন্যান্য ধনকুবের শিল্পপতিদের তুলনায় অনেক কম বেতন গ্রহণ করেন।
২০২৫ আর্থিক বছরে গৌতম আদানির মোট বেতন ছিল ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে এই অঙ্ক বিশাল মনে হলেও, আদানির মতো একাধিক সংস্থার মালিকের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কম বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর এই বেতন মূলত আসে আদানি গোষ্ঠীর অধীনস্থ দুটি সংস্থা থেকে—যার মধ্যে একটি হলো আদানি এন্টারপ্রাইজেস এবং অন্যটি হলো আদানি পোর্টস।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে গৌতম আদানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস থেকে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ও আদানি পোর্টস থেকে ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা বেতন পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আগের অর্থবর্ষে তাঁর বেতন ছিল ৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, এবার সেই পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
অন্যদিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে বেতন হিসেবে পেয়েছেন ১৫ কোটি টাকা। ভারতী এয়ারটেলের সুনীল মিত্তাল পেয়েছেন ৩২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। বাজাজ গোষ্ঠীর রাজীব বাজাজ পেয়েছেন ৫৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন হিরো মটো কর্পের পবন মুঞ্জল(Pawan Munjal), যিনি গত অর্থবর্ষে বেতন হিসেবে পেয়েছেন রেকর্ড ১০৯ কোটি টাকা।
গৌতম আদানি যেভাবে সীমিত সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে সীমিত বেতন গ্রহণ করেন, তা একদিকে যেমন চমকপ্রদ, তেমনই তাঁর ব্যবসায়িক কৌশলের দিক থেকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচায়কও বটে। যদিও তাঁর আসল আয় আসে সংস্থার শেয়ারে বিনিয়োগ ও সম্পত্তি মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেই।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার, যা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে। তবু এতো বড় সাম্রাজ্যের প্রধান হয়েও এই পরিমিত বেতন গ্রহণ আদানির কর্মসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন