নিজস্ব সংবাদদাতা – নতুন পরিচয়ে শুরু হয়েছিল এক তরুণের জীবনের নতুন অধ্যায়। ছোটবেলায় ভারতে এসে আশ্রয় পেয়েছিল এক কৃষক পরিবারের বাড়িতে। তার পর ধীরে ধীরে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক রূপে গড়ে তোলে—তৈরি করে আধার, ভোটার কার্ড। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরের সেই আড়ালের পর্দা শেষমেশ সরে গেল।
পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই যুবক রূপক চন্দ্র সেন এবং তাকে আশ্রয় দেওয়া তার ‘দত্তক পিতা’ উমেশ চন্দ্র সেনকে। হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটে এই ঘটনা।
রূপকের প্রকৃত বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বগুড়া এলাকায়। তবে উমেশ চন্দ্র সেন দাবি করেছেন, তিনি রূপককে দত্তক নিয়েছিলেন এবং ১৫ বছর বয়স থেকে তাকে নিজের ঘরে মানুষ করেছেন।
বর্তমানে রূপক শিলিগুড়িতে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করত। আবাস যোজনার অধীনে ঘরের নির্মাণ কাজ করতে বাড়ি এলে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
রূপকের নামে ইতিমধ্যেই আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি হয়ে গেছে। ভোটার তালিকায় উমেশের ছেলের নাম হিসেবে তার উল্লেখও রয়েছে। যদিও তার আসল পরিচয় এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের মেখলিগঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে এখন প্রশ্ন—এমন অনুপ্রবেশ ও পরিচয়পত্র জালিয়াতির পেছনে আর কেউ জড়িত কি না?
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন