নিজস্ব সংবাদদাতা – রাতের অন্ধকারে হাড়িভাঙ্গার বনভূমি তখন নিঃশব্দ। কেবল শোনা যাচ্ছিল পায়ের শব্দ—বড়, ভারী পায়ের শব্দ। এক হস্তিনী তার ছোট শাবককে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। তার পেছনে ছিল আরও কুড়ি-একটি হাতির দল। কিন্তু হঠাৎই সেই নিরবতা ভেঙে উঠল উন্মত্ত চিৎকারে—“তাড়াও! ছুঁড়ো!”—আর সঙ্গে সঙ্গে আকাশচিরে উড়ে এল আগুনের গোলা।
হাতির শরীরে ঝলসে পড়ল আগুন। ছোট শাবকটি চিত্কার করে উঠল। হস্তিনী ছেলেকে বাঁচাতে জঙ্গলের দিকে দৌড়ে পালাতে লাগল। কিন্তু আগুন থেমে থাকেনি। একের পর এক জ্বলন্ত শলাকা উড়ে এসে পড়ছে তাদের উপর। যেন কেউ চায় না তারা বাঁচুক, যেন তাদের অপরাধ শুধুই খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসা।
এই ভিডিও দেখে আজ স্তব্ধ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া। কেউ লিখেছেন—“মানুষই প্রকৃত হিংস্র প্রাণী।” কেউ বলেছেন—“হাতিরাও কাঁদে, শুধু আমাদের মতন চিৎকার করতে জানে না।”
বন দফতর তদন্ত শুরু করেছে। ডিএফও জানিয়েছেন, হুলা পার্টির উপস্থিতি ছিল না, কিন্তু আগুন ছোড়া হয়েছে—এটা অস্বীকার করা যায় না। প্রশ্ন উঠছে—কে দিল সেই আগুনের আদেশ? কে হাতে তুলে দিল শলাকা?
ঝাড়গ্রামে এক সময় জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিল একটি মা হাতি। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। তারই মাঝে ফের এক শাবকের কান্না, এক হস্তিনীর আতঙ্ক, এক জাতির লজ্জা।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন