নিজস্ব সংবাদদাতা – একটা সময় ছিল, যখন ডাকঘরের মূল কাজ ছিল চিঠি পৌঁছে দেওয়া। মানুষ অপেক্ষা করত প্রিয়জনের চিঠির জন্য, আর ডাকবাক্সের শব্দে বুক কাঁপত উত্তেজনায়। কিন্তু সময় বদলেছে, আর সেই বদলের সঙ্গে বদলে গিয়েছে ডাকঘরের কার্যপরিধিও। আধুনিক যুগে ডাকঘর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি রূপ নিয়েছে সাধারণ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার অন্যতম ভরসা হিসেবে। আজকের দিনে ডাকঘর সঞ্চয় ও বিনিয়োগের নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে ডাকঘরের অধীনে এমন একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে, যেগুলি স্বল্প আয়ের মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয়কেও ভবিষ্যতের বড় মূলধনে পরিণত করতে পারে। সরকারের পরিচালিত এই প্রকল্পগুলি ঝুঁকিহীন, স্থিতিশীল এবং সুদসহ রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিশেষ করে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, যা কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সহায়ক; সিনিয়র সিটিজেন স্কিম, যা অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য আয়ের উৎস; এবং কিষাণ বিকাশ পত্র, যা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার সুযোগ দেয় — এই প্রকল্পগুলি ডাকঘরকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ডাকঘরগুলি আজ শুধুমাত্র সরকারি দপ্তর নয়, বরং লাখো মানুষের অর্থনৈতিক ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
