নিজস্ব সংবাদদাতা – যুদ্ধ কি কেবল সময়ের অপেক্ষা? মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে উদ্বেগ। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা উত্তেজনার আবহে আমেরিকার সক্রিয়তা অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
গত তিন দিনে আমেরিকা যেভাবে ইউরোপের বিভিন্ন ঘাঁটিতে ৩০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে, তা নিছক কাকতালীয় নয় বলেই মত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে ৭টি কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কার বিমানের সরাসরি মোতায়েন এই ধারণাকে আরও জোরালো করছে যে, এক বৃহৎ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কারগুলি মূলত দীর্ঘমেয়াদি আকাশযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়—যেখানে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলেও আকাশেই পুনরায় জ্বালানি ভরতে পারে যুদ্ধবিমান। এই পদক্ষেপ সামান্য নয়।
সঙ্গে মঙ্গলবার ট্রাম্পের ঘরোয়া বৈঠক, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ৮০ মিনিট ধরে আলোচনায় বসেন তিনি। যুদ্ধ সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণেই এই বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মিডিয়া।
এই সমস্ত ঘটনার মিলিত প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ বলছেন—ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমেরিকা ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্ববাসী আপাতত তাকিয়ে—এই উত্তেজনার পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন