নিজস্ব সংবাদদাতা – জাতীয় পর্যায়ের প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার জীবন থেমে গেল পিতার গুলিতে। গুরুগ্রামের টেনিস একাডেমি ছিল তার স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নটাই যেন তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল।
দীপক যাদব, যিনি তার মেয়ে রাধিকাকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ, বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। কিন্তু তার বড় ভাই বিজয় যাদব জানিয়েছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য—দীপক নিজেই বলেছেন তিনি “কন্যা বধ” করেছেন এবং চান তার ফাঁসি হোক।
ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি টানাপোড়েন: রাধিকা নিজের টেনিস একাডেমি চালাতে চাইতেন, কিন্তু দীপক তা মেনে নিতে পারছিলেন না। তাদের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো হওয়ায়, দীপকের ধারণা ছিল রাধিকার কাজ করার কোনও দরকার নেই। অথচ রাধিকা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন নিজের মতো করে।
পুলিশ জানায়, এক পর্যায়ে মতবিরোধ চরমে ওঠে এবং দীপক ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাধিকার। ১১ জুলাই ময়নাতদন্ত শেষে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন, রাধিকার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল।
ঘটনার অন্য একটি দিক নিয়েও তদন্ত চলছে—রাধিকা একটি মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়েছিলেন, যা নিয়ে পারিবারিক আপত্তি ছিল বলে জানা যায়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক এখনও পাওয়া যায়নি।
ভিডিওতে রাধিকার সহ-অভিনেতা ইনাম-উল-হক জানিয়েছেন, “আমার সঙ্গে তার পেশাগত সম্পর্ক ছিল মাত্র। ভিডিওর পর আর যোগাযোগ ছিল না।” তিনি আরও জানান, ভিডিওটি ছিল অবৈতনিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ শুভকামনার ভিক্তিতে শুট করা।
একজন উদীয়মান ক্রীড়াবিদ, একজন সাহসী কন্যা, আর এক অনুশোচনাগ্রস্ত পিতা—এই ঘটনায় উঠে এসেছে পারিবারিক মতবিরোধ, পিতৃতন্ত্র, এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার সংঘাতের নির্মম প্রতিচ্ছবি।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন