একটি হারিয়ে যাওয়া কন্যা, একটি পুকুরের নীরবতা, আর সমাজের মুখোশ

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা – তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল পঞ্চম শ্রেণির এক ফুটফুটে কন্যাশিশু। কেউ ভাবেনি, তার খোঁজ মিলবে একটি নির্জন পুকুরে—অর্ধনগ্ন, পচাগলা এক দেহে রূপান্তরিত হয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে ঘটে যাওয়া এই হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছিন্নভিন্ন হয়েছে গোটা এলাকা।

মেয়েটি শুক্রবার সকালে স্কুলে গিয়েছিল, আর ফেরেনি। পরিবার এক মুহূর্ত থেমে থাকেনি খুঁজতে। পরদিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি—যতক্ষণ না মঙ্গলবার সেই নীরব পুকুর নিজের বুকে গোপন এক রহস্য উন্মোচন করল।

দেহের উপরের অংশে ছিল না কোনও বস্ত্র। মেয়েটির বাবা অসহায়ভাবে বললেন, “আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।” শুধু তিনিই নন, গোটা সমাজ স্তব্ধ এই নির্মমতার সামনে।

আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—একটি শিশুকে রক্ষা করতে না পারা সমাজের দায় কে নেবে? কতটা অসহায় হলে একটি পুকুর মুখ খুলে দিতে পারে আমাদের ব্যর্থতার হিসাব?

আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds