নিজস্ব সংবাদদাতা – বাঁশতলার রাতটা অন্য রকম ছিল। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছিল জঙ্গলের শব্দ। সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে একদল হাতি এগিয়ে যাচ্ছিল এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে—ঠিক তখনই ঘটে গেল বিপর্যয়।
রাত প্রায় ১১টা। হাতির দলটি রেললাইন পার হচ্ছিল। আচমকা দিক থেকে ধেয়ে এল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। দ্রুতগামী ট্রেনটির ধাক্কায় লাইনের উপরেই লুটিয়ে পড়ে তিনটি হাতি—একটি প্রাপ্তবয়স্ক ও দুটি শাবক। মুহূর্তেই নিথর হয়ে পড়ে তারা।
ঘটনার জেরে থেমে যায় ট্রেন। খবর যায় বনদপ্তর ও রেলদপ্তরে। ক্রেন এনে সরাতে হয় মৃত হাতিগুলোর দেহ। বহুক্ষণ বন্ধ থাকে রেল চলাচল।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। রেল এবং বনদপ্তর—উভয়কে দায়ী করছেন তাঁরা। তবে বনদপ্তরের বক্তব্য, এই মৃত্যু সম্পূর্ণভাবে রেলের গাফিলতির ফল। আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল যে ওই রুটে হাতির দল চলাচল করতে পারে।
এটাই প্রথম নয়—প্রতিবারই রিভিউ বৈঠকে সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও রেল দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বনদপ্তরের। ফলে এই মৃত্যুগুলিকে ‘অজানা দুর্ঘটনা’ নয়, ‘উপেক্ষার ফল’ বলেই মানছেন পরিবেশবিদরা।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন