নিজস্ব সংবাদদাতা – হরিশ্চন্দ্রপুরের রাস্তা তখন নিঃস্তব্ধ। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এসে ছিঁড়ে দিয়ে যায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতির ব্যানার। সকালে ঘুম ভাঙতেই রাজনৈতিক তোলপাড়—কে করল এই কাজ? বিরোধী না নিজেরাই?
ব্যানারটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত, নিচে লেখা জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার এবং ব্লক সভাপতি সাহেব দাসের নাম। হাসপাতালগামী রাস্তার ধারে ব্যাঙ্কের পাশে ছিল সেই ব্যানার, যেটি ছিঁড়ে দেওয়া হয় বুধবার রাতেই।
তৃণমূলের দাবি, বিরোধীদের কাজ এটা। কিন্তু বিরোধীরা বলছে, “নিজেদের ঘরের কোন্দলের জেরেই এমনটা হয়েছে।” অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হেভিওয়েট নেতা—মন্ত্রী তাজমুল হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। সম্প্রতি তাঁদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেই এসেছে।
বিশেষ করে সাহেব দাস যেহেতু বুলবুল খানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রস্তুতি কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতই এর পেছনে মূল কারণ। ব্যানার ছেঁড়াকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর লড়াই যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ প্রস্তুতির আগেই মালদায় তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ সংঘাত তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন