নিজস্ব সংবাদদাতা – কিছু সম্পর্ক রক্তের নয়, বিশ্বাসের। আর সেই বিশ্বাস যখন বিশ্বাসঘাতকতায় পরিণত হয়, তখন তার মূল্য হয় প্রাণ দিয়ে চোকাতে হয়। এমনই ঘটেছিল চিৎপুরের প্রাণগোবিন্দ ও রেণুকা দাসের জীবনে—যাঁরা নিঃসন্তান জীবনে সঞ্জয় সেনকে সন্তান হিসেবে আপন করে নিয়েছিলেন।
সঞ্জয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ছিলেন তাঁদের পরিচারিকা। তাঁকেও নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন দম্পতি। এতটাই বিশ্বাস ছিল যে, তাঁর ভবিষ্যৎ গড়তে পূর্ণিমার বিয়েও দেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। কিন্তু অন্ধ স্নেহের সুযোগ নিয়ে অর্থ ও সোনার লোভে একদিন সেই সঞ্জয়ই তাদের হত্যা করে।
তাকে ছেলের মতো দেখতেন, রিকশা কিনে দিয়েছিলেন, আর্থিক সাহায্য করতেন। সেই সঞ্জয়ই একদিন সকালে রিকশায় প্রাণগোবিন্দকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে দুপুরে ফিরে এসে দম্পতিকে লোহার রড দিয়ে খুন করে। খুনের পর রেখে যায় ঘরে পচে যাওয়া দেহ আর নিয়ে যায় ঘরভর্তি সোনা-টাকা।
এই হত্যার ঘটনা আমাদের শেখায়—ভালোবাসা এবং বিশ্বাস দুই-ই মূল্যবান, কিন্তু অন্ধভাবে নয়। বিশ্বাস করলেও চোখ বুজে নয়, কারণ বিশ্বাসভঙ্গের মূল্য হতে পারে প্রিয়জনের জীবন।
আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় কেবল বিচার নয়, সামাজিক বার্তা—বিশ্বাসঘাতকতা ও লোভের প্রতিকারে সমাজকে কঠোর হতে হবে। কারণ কিছু অপরাধ শুধুই আইনের ভয়েই থামে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন