নিজস্ব সংবাদদাতা – বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একটি দ্বৈত প্রাকৃতিক প্রভাবে চরম রূপ নিচ্ছে। মৌসুমি অক্ষরেখার অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমি অক্ষরেখাটি পশ্চিম রাজস্থান ও পাকিস্তানের নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে লখনউ, পটনা, বাঁকুড়া ও দিঘা হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত হয়েছে। এই অক্ষরেখা ও উত্তর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার উপর দিয়ে বিস্তৃত অতিরিক্ত রেখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া আগামী কয়েক দিন ধরে রীতিমতো বৃষ্টিপ্রবণ থাকবে। সোমবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লেও বুধবার থেকে তা আরও তীব্র হবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে যেমন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
বৃষ্টির এই ধারাবাহিকতা শুক্রবার ও শনিবারও অব্যাহত থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান ও পুরুলিয়াতে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গে সামগ্রিকভাবে বজায় থাকবে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে সোমবার ও মঙ্গলবার আলাদা করে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে ২৪ জুলাই থেকে ফের একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে মৎস্যজীবীদের সেই দিন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
সমগ্র পরিস্থিতিতে বলা যায়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলার জন্য পরবর্তী কয়েকদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন, নাগরিক এবং কৃষিজীবীদের আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন