নিজস্ব সংবাদদাতা- চুরি যে কেবল ব্যাগে ভরে নিয়ে পালানোর ব্যাপার নয়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রোহিত ও আনমল। সল্টলেকের নামজাদা শপিং মলে ‘ক্রেতা সেজে’ ঢুকে তারা যে কায়দায় পোশাক চুরি করছিলেন, তা দেখে তাজ্জব নিরাপত্তা কর্মীরাও।
একটার উপর একটা করে চারটি জিনস পরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। সাইজ অনুযায়ী পরা—৩০, ৩২, ৩৪, তার উপর ৩৬। নিঃসন্দেহে কায়দাটি ‘চুরি বিদ্যার উচ্চতর কোর্স’।
একজিট গেট পার হওয়ার সময় ‘বিপ বিপ’ শব্দে ভেসে উঠল ট্যাগ ডিটেক্টর। হাতে না থাকলেও পকেট আর পোশাকেই ছিল ‘জিনসের আস্ত গুদাম’। রোহিত ধরা পড়তেই ধরা পড়ে গোটা কাণ্ড। আনমল পালালেও পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সেও।
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস জানিয়েছে, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে আগেও একই পদ্ধতিতে চুরির অভিযোগ রয়েছে। অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার জিনস চুরির হিসেব।
এই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগেই ট্যাগ বদলে দামি জামাকাপড় কিনে নেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল অন্য এক মলে—পড়ুয়াদের দ্বারা। মলে চুরি নতুন নয়, কিন্তু কৌশল যেন রোজ বদলে যাচ্ছে।
উঠছে প্রশ্ন—শপিং মলে নিরাপত্তা কি যথেষ্ট? প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা থাকলেও, অভিনব কৌশলে ছিদ্র খুঁজে নিচ্ছে অপরাধীরা।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন