নিজস্ব সংবাদদাতা – দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যেন আরও একবার তুলে দিল সরকারি স্বাস্থ্য পরিসেবার গাফিলতির ছবি। শুক্রবার রাতে সেখানে অন্তত ৮-১০ জন প্রসূতির শরীর খারাপ হতে শুরু করে। উপসর্গ কম-বেশি এক — হঠাৎ কাঁপুনি, শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট ইনজেকশন দেওয়ার পরেই এই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
প্রসূতি পরিবারদের অভিযোগ অনুযায়ী, রাতে ইনজেকশন দেওয়ার পরেই কেউ কাঁপতে থাকেন, কেউ বা বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরিস্থিতি দ্রুতই জটিল হয়ে ওঠে, এমনকি দু’জনকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরও করতে হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও এখনই কোনও মন্তব্য করছেন না। তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস জানিয়েছেন, “সব রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি হাসপাতাল ছাড়ব না।”
প্রশ্ন উঠছে — ইনজেকশনটি কী ছিল? তা ব্যবহারের অনুমোদন ছিল কি না? ইনজেকশন সংক্রান্ত গাফিলতি আদৌ ঘটেছে কি না?
এই প্রথম নয় — কয়েক মাস আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও উঠেছিল একইরকম অভিযোগ। ফলে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে: একের পর এক ভুল চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ঘটনায় কি যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর?
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন