Paschim Bardhaman
রানিগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান | ২৫ মে, ২০২৫
দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা নকল ক্যানসার ওষুধ কাণ্ডে বড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের কেন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চক্রের অন্যতম মূলচক্রী সাবির আলমকে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকা সাবিরকে অবশেষে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা হাতে নাতে পাকড়াও করে।
তিন বছরের চেষ্টায় ধরা পড়ল পলাতক সাবির
পুলিশ সূত্রে খবর, খণ্ডঘোষ থানার কুমিরখোলা এলাকার বাসিন্দা সাবির পেশায় একজন ক্যাব ড্রাইভার হলেও, ২০২২ সাল থেকে সে জড়িয়ে পড়ে ক্যানসারের নকল ওষুধ তৈরির আন্তর্জাতিক চক্রে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা রুজু হয়:
ধারা: ২৭৪, ২৭৫, ২৭৬ (নকল ওষুধ সংক্রান্ত)
ধারা: ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ (প্রতারণা ও জালিয়াতি)
ধারা: ৩০৮, ২০১, ১২০বি, ৩৪ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ)
দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল অনুসন্ধানে জানতে পারে, ২০২২ সালের নভেম্বরে হরিয়ানার সোনিপতের একটি কারখানায় তৈরি হচ্ছিল নকল ক্যানসার ওষুধ। উত্তর প্রদেশের এক গুদাম থেকেও বিশাল পরিমাণ নকল ওষুধ উদ্ধার হয়। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল দুই চিকিৎসক-সহ মোট ১৪ জন।
চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় থেকেই অপরাধ জগতে প্রবেশ
তদন্তে জানা যায়, এক চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরেই সাবির এই চক্রে প্রবেশ করে। এরপরে সে ক্যানসারের নকল ওষুধ তৈরির মূল ‘মাথা’ হয়ে ওঠে। পুলিশের দাবি, সাবির পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় নকল ওষুধ সরবরাহ করত। এমনকি, এই ওষুধ বাংলাদেশেও পাচার করা হত।
গোপন সূত্রে খবর, তারপরই রানিগঞ্জে অভিযান
দীর্ঘদিন ধরেই সাবির আলমের সন্ধানে ছিল দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হুলিয়া পর্যন্ত জারি হয়। অবশেষে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানিগঞ্জের কেন্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাবিরকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, সাবিরের গ্রেফতারি এই আন্তর্জাতিক চক্রকে ভাঙার পথে বড় সাফল্য। তার জেরা থেকে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
