নির্বাক জীবন, নির্দয় পরিণতি: ন্যায়ের লড়াইয়ে এক মুক ও বধির বধূর মৃত্যুর দায় কার?

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা- শুধু শরীরের বাকশক্তিই হারিয়ে গিয়েছিল না, সমাজের সহমর্মিতাও যেন বিস্মৃত হয়েছিল তাঁর দিকে তাকাতে। পাথরপ্রতিমার এক মুক ও বধির গৃহবধূ শঙ্করী সেন শিটের মৃত্যু যেন আরও একবার সামনে আনল এই সমাজে নিঃস্ব ও দুর্বল কণ্ঠের প্রতি আমাদের উদাসীনতা।

জলে ডুবে মেয়ের মৃত্যু, এরপরেই জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছিলেন তিনি—এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু একমাত্র সন্তান হারানোর শোককে পেরিয়েও সংসার টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে গেছেন শঙ্করী। অথচ বদলে পেয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লাগাতার মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। অভিযোগ, তাঁর বাকরুদ্ধ অবস্থাকেই সুযোগ হিসেবে দেখেছিল অত্যাচারীরা।

ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধারের পর শঙ্করীর পরিবার সরাসরি খুনের অভিযোগ তোলে। তাঁরা জানান, এ মৃত্যু আত্মহত্যা নয়—বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রমাণ সাজানো হয়েছে। চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। আদালত তিনজনকে পুলিসি হেফাজতে ও একজনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—একজন বাকহীন ও বধির নারীর কণ্ঠ কতটা শোনা হয় এই সমাজে? তার অভিযোগ, তার যন্ত্রণা যদি সে নিজে বলতে না পারে, তাহলে কি তা ন্যায়ের চোখে পড়ে না?
এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সমাজে ‘নির্বাক’ মানে অনেক সময় ‘অদৃশ্য’।

আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds