নিজস্ব সংবাদদাতা – দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকার শিব ক্যাম্পে ৯ জুলাই রাতটা ছিল অন্য রাতগুলোর মতোই—শান্ত, নিস্তব্ধ। ফুটপাথে জীবনযাপনকারী পাঁচজন মানুষ, যাঁদের প্রত্যেকের গল্প আলাদা, সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রোজকার ক্লান্তি নিয়ে। কিন্তু রাত ১:৪৫-এর পর সবকিছু বদলে গেল এক মুহূর্তে।
একটি সাদা বিলাসবহুল অডি গাড়ি হঠাৎ ফুটপাথে উঠে পড়ে, আর একের পর এক মানুষকে পিষে দিয়ে সামনের একটি ট্রাকে গিয়ে ধাক্কা মারে। চালক ছিলেন উৎসব শেখর, ৪০ বছর বয়সী এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, যিনি তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। নয়ডা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
আহতদের মধ্যে রয়েছে লাধি নামের এক মহিলা ও তাঁর আট বছরের কন্যা বিমলা। ছিলেন তাঁর স্বামী সাবামি ওরফে চিরমা, প্রতিবেশী রাম চন্দর ও তাঁর স্ত্রী নারায়ণী। সবাই রাজস্থান থেকে এসে দিল্লির এই এলাকায় অনেকদিন ধরেই ফুটপাথে বসবাস করছেন।
দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা গুরুতর অবস্থায় ছিলেন, তবে এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের মেডিক্যাল রিপোর্ট স্পষ্ট করেছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনা শুধু একটি দুর্ঘটনার গল্প নয়, এটি একটি সমাজের চিত্র—যেখানে অভিজাতদের বেপরোয়া আচরণ বারবার ঝুঁকিতে ফেলছে সাধারণ মানুষের জীবন। মে এবং এপ্রিলে একই রকম আরও দুইটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে—একটিতে মৃত্যু হয়েছে দুই পথচারীর, অন্যটিতে এক কিশোর চালকের গাড়িতে প্রাণ গেছে এক শিশুকন্যার।
শিব ক্যাম্পের নিঃশব্দ রাত এখন আর আগের মতো নেই—তার বুকজুড়ে জমে আছে আতঙ্ক, প্রশ্ন আর একটি তীব্র ন্যায়বোধের আর্তি।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন