নিজস্ব সংবাদদাতা- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদ্যোগে দেশে একের পর এক চমকপ্রদ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ডিজিটাল পেমেন্ট থেকে শুরু করে পরিচয়পত্র ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া, সবই ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নিদর্শন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ডাক পরিষেবাও। ভারতীয় ডাক বিভাগ এবার আনতে চলেছে ডিজিটাল ঠিকানা সনাক্তকারী ব্যবস্থা, যার নাম ‘ডিজিপিন (Digipin)’।
বর্তমানে প্রতিটি ঠিকানার সঙ্গে নির্দিষ্ট পিনকোড ব্যবহৃত হয়, যা ছয় অঙ্কের একটি সংখ্যা। তবে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সঠিক পিনকোড ব্যবহার করেও নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠিপত্র বা পার্সেল পৌঁছাতে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আরও নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নিয়ে আসছে ডাক বিভাগ।
ডিজিপিন এমন একটি কোড যা অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ (latitude & longitude)-এর ভিত্তিতে তৈরি হবে। প্রতিটি বাড়ি বা অবস্থানকে ৪ মিটার × ৪ মিটার অংশে ভাগ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রতি ১৬ বর্গমিটার এলাকাই পাবে একটি স্বতন্ত্র ১২-অক্ষরের কোড। এই কোডই হবে সেই জায়গার স্থায়ী ডিজিটাল ঠিকানা।
এই প্রক্রিয়াটি চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে IIT Hyderabad ও ISRO। এই দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী একটি ডিজিটাল ঠিকানা অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এমনকি সমুদ্র বা উপকূলবর্তী অঞ্চল, যেগুলি এতদিন ঠিকানা না থাকার জন্য সরকারি পরিষেবার বাইরে ছিল, সেখানেও ডিজিপিন চালু করা হবে।
কীভাবে পাওয়া যাবে নিজের ডিজিপিন?
একজন নাগরিককে প্রথমে ডিজিপিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যেতে হবে। সেখানে নিজের বর্তমান অবস্থান বা সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখলে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি ইউনিক ১২-অক্ষরের কোড দেখা যাবে— সেটিই হবে তার ডিজিপিন।
ইতিমধ্যেই এই পরিষেবার পোর্টাল ও অ্যাপ প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। সরকার এটি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এলাকায় চালু করতে চাইছে। সাফল্য পেলে আগামী দিনে এটি গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ডিজিপিন চালু হলে কুরিয়ার, ডাক বা সরকারি চিঠিপত্র বিলি হবে অনেক বেশি নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত গতিতে। প্রযুক্তির হাত ধরে এবার ঠিকানা ব্যবস্থায় সত্যিই আসতে চলেছে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন