দুর্গাপুর, ১৯ মে:
দুর্গাপুর ব্যারাজের প্রায় ৭০ বছরের পুরনো সেতুর সংস্কার কাজ আগামী ১৫ জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের সেচ দফতরের সচিব মণীশ জৈন। রবিবার তিনি নিজে ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মণীশ জৈন বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারদের নিরন্তর নজরদারিতে কাজ চলছে। অনেক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও দ্রুত গতিতে কাজ এগোচ্ছে। ১৫ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।”
সেতুর সংস্কারের জন্য ১ মে থেকে ব্যারাজের উপর দিয়ে শুধুমাত্র বাস, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল ও সাইকেল চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য দামোদর নদীর উপর প্রায় ১.২ কিলোমিটার লম্বা অস্থায়ী বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ভারী যান যেমন ডাম্পার ও ট্রাককে অন্য রুট ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

সংস্কারের কাজ হিসেবে সেতুর উপরের পিচ তুলে ফেলে কংক্রিটের মেঝে বের করা হয়েছে এবং দু’টি গেটের সংযোগস্থলে নতুন কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। বাঁদিকের লেনে, অর্থাৎ দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার পথে, ১৭ নম্বর লকগেট পর্যন্ত প্রাথমিক পিচের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার জানিয়েছেন, কাজ নির্ধারিত গতিতেই এগোচ্ছে। তবে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতি হলে কাজের গতি প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে সেতুর উপরের কাজ যেমন ব্যাহত হতে পারে, তেমনই অস্থায়ী বিকল্প রাস্তায় জল জমে যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখেই দিন-রাত এক করে কাজ চালানো হচ্ছে।
রবিবার পরিদর্শনের সময় সচিবের সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ, পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় এবং সেচ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকেরা। সচিব সেতুর কাজ ছাড়াও বিকল্প রাস্তাটির অবস্থাও খতিয়ে দেখেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের সময়মতো সম্পন্ন হওয়া দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন