নিজস্ব সংবাদদাতা – গ্রীষ্ম মানেই ইউরোপে ছুটি, ভ্রমণ আর রোদেল মজা—কিন্তু ২০২৫ সালে সেই ছবিটা বদলে গেছে। গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র তাপপ্রবাহ ইউরোপের একাধিক দেশকে অচল করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই অস্বাভাবিক উষ্ণতাজনিত কারণে।
এই উষ্ণতার প্রভাব এতটাই তীব্র যে, অনেক দেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, যা শিল্প ও স্বাস্থ্য খাতের ওপরও প্রভাব ফেলছে।
তাপপ্রবাহ শুধু তাপমাত্রা নয়, সঙ্গে এনেছে ভয়াবহ দাবানল—বিশেষ করে গ্রীস, স্পেন ও তুরস্কে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ধ্বংস করছে বনাঞ্চল, উচ্ছেদ করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজনকে।
বিশেষ করে স্পেনের সেভিলে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের দিল্লি বা কলকাতার থেকেও বেশি। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের জন্যও বড় সংকেত। জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব কীভাবে উন্নত বিশ্বকেও নতজানু করতে পারে, তার স্পষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে এই তাপপ্রবাহ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্য, পরিকাঠামো ও পরিবেশের উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন