নিজস্ব সংবাদদাতা – চার দশকের পুরনো এক সেতুর অবহেলা কীভাবে ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডিতে পরিণত হতে পারে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে থাকল গুজরাটের গম্ভীরা সেতু বিপর্যয়। বুধবার সকালে হঠাৎ ভেঙে পড়ে মহিসাগর নদীর উপর নির্মিত এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি, আর তাতেই চাপা পড়েন বহু সাধারণ মানুষ ও যানবাহন।
প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা যতটা ছিল, বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে আরও দু’টি দেহ যুক্ত হওয়ায় সংখ্যাটি পৌঁছে যায় ১৩-তে। নিখোঁজদের খোঁজে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ভাদোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া।
তবে এই বিপর্যয়ের পেছনে আছে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ ও প্রশাসনিক উদাসীনতা। স্থানীয়দের দাবি, সেতুটির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই নাজুক ছিল। ভারী যান চলাচল ও যানজটের কারণে প্রতিদিনই সেতুর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতো। একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
গম্ভীরা সেতু শুধু দুটি জেলা নয়—মধ্য গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রের মধ্যে একটি প্রধান সড়কপথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আনন্দ, ভাদোদরা, ভারুচ, অঙ্কলেশ্বর সহ বহু শহরের মানুষের যাতায়াত নির্ভর করত এই সেতুর উপর। তার হঠাৎ পতনে শুধু প্রাণহানি নয়, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ধাক্কা খেলো বড়সড়ভাবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে—একটি ভঙ্গুর সেতু সম্পর্কে আগাম সতর্কতা থাকলেও প্রশাসন তা কেন উপেক্ষা করল? তদন্ত শুরু হলেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। হয়তো এই সেতু বিপর্যয় শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়—এ এক পূর্ব ঘোষিত বিপর্যয়।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন