নিজস্ব সংবাদদাতা – ত্রিপুরার গণ্ডাছড়া বাজারে ফ্রিজারের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ কেবল একটি অপরাধ নয়, বরং সমাজের এক অন্ধকার দিককে উন্মোচন করে দিল। প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এতটা হিংসা, ষড়যন্ত্র এবং নির্মমতা— যা এক তরতাজা যুবকের জীবন কেড়ে নিল।
সরিফুল ইসলাম ছিলেন একজন পরিশ্রমী তরুণ। প্রেমিকার নিমন্ত্রণে বাড়িতে গিয়ে তিনি যে আর ফিরবেন না, তা স্বপ্নেও ভাবেননি। তার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা, তারপর মৃতদেহ গোপনে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফ্রিজারে লুকানো— গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই ঠান্ডা মাথায় ঘটানো হয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল যে শুধুমাত্র সম্পর্কের জটিলতা নয়, সেই সম্পর্ককে ঘিরে থাকা সমাজের গোঁড়ামি, আত্মম্ভরিতা ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাও কতটা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ডিজিটাল প্রমাণ, কল রেকর্ড, জিপিএস লোকেশন— আধুনিক প্রযুক্তি যেমন অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে, তেমনি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে— আমরা কি আগেই এই সংকেতগুলো বুঝতে পারি না?
সাম্প্রতিক মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের পর এই ঘটনা ফের স্মরণ করিয়ে দিল, সম্পর্কের নামে সহিংসতা এবং আধিপত্যের প্রবণতা রুখতে সমাজ ও প্রশাসন উভয়েরই আরও কঠোর ও সংবেদনশীল ভূমিকা দরকার।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন