নিজস্ব সংবাদদাতা – ৩৫ বছর আগে এক রাত্রির অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পা রেখেছিলেন শেখ ইমরান ও তাঁর স্ত্রী মাভিয়া। সেই থেকে শুরু নতুন জীবনের এক অদৃশ্য অধ্যায়— যেখানে পরিচয় ছিল ভুয়ো, কিন্তু জীবন ছিল বাস্তবের থেকেও বেশি জটিল।
রায়পুরের গলিতে গলিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মানেই পরিচিত মুখ ইমরান। সায়েরির সুরে মুগ্ধ করতেন সবাইকে। নিজের নামে তৈরি করেছিলেন ভোটার কার্ড, আধার, এমনকি পাসপোর্টও। কিন্তু স্ত্রী মাভিয়ার জন্য তা কখনও করতে পারেননি।
সব কিছু চলছিল গোপনে— যতক্ষণ না ছত্তিশগঢ় পুলিশের নজরে পড়েন তাঁরা। “অবৈধ নাগরিক” ঘোষণা হতেই তাদের সবকিছু ভেঙে পড়ে। আর সেই মুহূর্তেই তাঁরা ফিরে যেতে চাইলেন নিজেদের মাটিতে— বাংলাদেশে।
মঙ্গলবার, হিলি সীমান্ত দিয়ে ইমরান ফেরার চেষ্টা করলেন বৈধভাবে, আর মাভিয়া গেলেন চেনা পথে— গোপনে। কিন্তু এবার আর গোপন রইল না। বিএসএফের জালে ধরা পড়লেন মাভিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে ফাঁস হল স্বামীর অবস্থান।
পুলিশের জেরায় উঠে এল রাজশাহীর বিরকুস্টা গ্রামের নাম। উঠে এল একটি জীবনের দীর্ঘ লুকোচুরি। আদালত পাঠাল তাঁদের— কেউ পুলিশের হেফাজতে, কেউ জেল হেফাজতে।
তদন্ত চলছে— কীভাবে তৈরি হল এতগুলি সরকারি নথি? কারা সাহায্য করেছিল?
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন