নিজস্ব প্রতিবেদক- শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হারের গ্লানিতে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ে ভারতীয় ফুটবলাররা। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটায় চার-চারবার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বল জালে জড়াল না একবারও। যেন কাপ ঠোঁট ছুঁইছুঁই করেও উঠে এলো না!
আশিক কুরুনিয়ান বল পেয়েছিলেন গোলকিপারের চোখে চোখ রেখে। ব্যর্থ হলেন। সুনীল ছেত্রী, লিস্টন কোলাসো—সবারই পা কেঁপে গেল সেই মুহূর্তে। শেষে বিশাল কাইথের ভুলে হজম হল গোল। পেনাল্টি। ম্যাচ শেষ। স্বপ্নভঙ্গ।
এই ম্যাচটা ছিল শুধুই হার নয়, একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন—ভারতীয় ফুটবল আদৌ এগোচ্ছে তো?
আইএসএল নামক মোহময় আলোয় ঝলমল করছে ক্লাব ফুটবল। বিদেশি খেলোয়াড়দের দাপট, শক্তিশালী কোচিং স্টাফ, দুর্দান্ত পরিকাঠামো। কিন্তু সেখানে দেশীয় প্রতিভা কতটা সত্যিকারের বিকশিত হচ্ছে?
মাঠে বিদেশিদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশীয় ফুটবলাররাও দীপ্তিমান। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি পরামাত্রেই সেই দীপ্তি কোথায় যেন মুছে যায়। ভুলের পর ভুল, লক্ষ্যভ্রষ্ট শট, এলোমেলো পাসিং—সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় তাঁদের দক্ষতা নিয়ে।
বড় ক্লাব যেমন মোহনবাগান—যেখানে কোলাসো, আশিক, কাইথ খেলেন—তারা আইএসএলে দুর্দান্ত। বিদেশি তারকাদের পাশে দেশীয়রা যেন সব্যসাচী সৈনিক। কিন্তু দেশের হয়ে নামলে যেন দাঁতের তলায় পড়ে যায় আত্মবিশ্বাস। বিদেশিদের অভাবে যেন ভেঙে পড়ে অবকাঠামো।
এটাই কি ভবিষ্যৎ? ক্লাবে হিরো, আর দেশের হয়ে জিরো?
আইএসএল ভারতীয় ফুটবলকে নতুন দিগন্ত দিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু সে আলোয় যদি নিজের ছায়াই হারিয়ে যায়, তাহলে সেই আলো কি আদৌ পাথেয়? জাতীয় দলের এই ছন্দপতনের দায় শুধু খেলোয়াড়দের নয়, গোটা কাঠামোর। আর সেই কাঠামো গড়ে তুলেছে বিদেশি নির্ভরতা—যা দেশে গর্ব, বিদেশে গ্লানি।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন