অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধনের পরই বিতর্কে দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির। এবার পেটেন্ট চেয়ে আইনি পথে হাঁটছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা নতুন জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পুরীর ঐতিহ্যবাহী শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের অনুকরণে তৈরি হওয়া এই মন্দিরের নাম রাখা হয়েছে “জগন্নাথ ধাম”, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে ওড়িশার মন্দির কর্তৃপক্ষ।
কী বলছে পুরীর শ্রীমন্দির প্রশাসন?
সম্প্রতি পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, তারা ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘শ্রীমন্দির’, ‘শ্রীক্ষেত্র’, ‘পুরুষোত্তম ধাম’ এবং ‘মহাপ্রসাদ’ ইত্যাদি শব্দগুলির উপর ট্রেডমার্ক এবং পেটেন্টের আবেদন করবে।
মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি বলেন:
“জগন্নাথদেবের নাম ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। বাছবিচারহীনভাবে পবিত্র শব্দগুলি ব্যবহার হওয়া বন্ধ হওয়া উচিত।”

দিঘার মন্দিরে ‘ধাম’ নামেই আপত্তি
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন,
“পুরী হল চার ধামের একটি। তাই দিঘার মন্দিরে ‘ধাম’ শব্দ ব্যবহারে ভক্তদের আবেগে আঘাত লাগছে।”
বিগ্রহ নিয়েও বিতর্ক
এর আগেও দাবি করা হয়েছিল, দিঘার মন্দিরে ব্যবহৃত বিগ্রহ পুরীর নবকলেবর উপলক্ষে নির্মিত জগন্নাথের নিমকাঠের অবশিষ্টাংশ থেকে তৈরি। যদিও পরে ওড়িশার মন্ত্রী নিজেই তা অস্বীকার করেন। তদন্তে উঠে আসে – দিঘার বিগ্রহ নবকলেবরের কাঠ দিয়ে নয়।
উপসংহার
দিঘার জগন্নাথ মন্দির রাজ্যের পর্যটনের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, নামকরণ এবং ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এক সংবেদনশীল পরিস্থিতি। এখন দেখার, পেটেন্টের আবেদনের পরে এই বিতর্ক কতদূর গড়ায়, এবং দুই রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা কতটা সম্ভব হয়।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন