প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৪, রেল ও মেট্রো পরিষেবা বিপর্যস্ত

Spread the love
কলকাতা: পুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা ও প্রস্তুতি চলছিল মণ্ডপগুলিতে। কিন্তু হঠাৎ প্রবল বর্ষণে ভেস্তে গেল সেই সমস্ত আয়োজন। নিম্নচাপের জেরে সোমবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের বহু এলাকা। যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

হাসপাতাল ও বাড়িতে জল
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই প্রবল বর্ষণে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গলিপথ থেকে শুরু করে বড় রাস্তা— সবই ডুবে গিয়েছে জলে। বহু বাড়ি ও গাড়ি প্রায় ডুবে গেছে। এমনকি যে সব রাস্তায় আগে কখনও জল জমেনি, সেগুলিও জলমগ্ন হয়েছে। জল নিষ্কাশনের কাজ শুরু হলেও বৃষ্টির জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। শহরের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জল ঢুকে পড়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের সামনের রাস্তাও পুরোপুরি জলমগ্ন।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৪
অন্যদিকে জমা জলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রাণহানি ঘটেছে। বেনিয়াপুকুর, বালিগঞ্জ প্লেস, কালিকাপুর ও নেতাজি নগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট চার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর দমকল কর্মীরা দেহ উদ্ধার করে। কলকাতা পুরসভার তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন।

রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত
রাতভর বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে শহর ও শহরতলির রেল পরিষেবা। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে রেললাইনে জল জমে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। হাওড়া ইয়ার্ড, শিয়ালদহ দক্ষিণ ইয়ার্ড, চিৎপুর উত্তর কেবিন-সহ একাধিক কারশেড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, যা পাম্প করে বের করার চেষ্টা চলছে। বনগাঁ ও হাসনাবাদ লাইনের পরিষেবাও বিঘ্নিত। ডাউন লাইনের ট্রেনগুলি দমদম জংশন পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না। একইভাবে কলকাতার মেট্রো পরিষেবাতেও বড়সড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds