হায়দরাবাদ | ১৯ মে ২০২৫
জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনার অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সেল) যৌথ অভিযানে এই অভিযুক্তদের আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতরা শহরে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক কষছিল এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সিরাজ-উর-রহমান (২৯) এবং সইদ সমীর (২৮)। দু’জনেই সন্দেহভাজন জঙ্গি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের আইএস মডিউলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিস্ফোরণের ছক স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজ়িয়ানগরমে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় রহমানকে। পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হায়দরাবাদ থেকেই ধরা হয় সইদ সমীরকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে অ্যামোনিয়া, সালফার ও অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো-সহ নানা ধরনের বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের লক্ষ্য ছিল হায়দরাবাদ শহরেরই কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানো। ঠিক কোথায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার পর থেকেই হায়দরাবাদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহর জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়ে অতিরিক্ত সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর উপত্যকায় চিরুনিতল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁও কাণ্ডে জড়িত কাউকে ধরা যায়নি। সেই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের উপর চাপিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে সীমান্তে বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। পরবর্তী সময়ে, ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হলেও, সীমান্তে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
এর মধ্যেই হায়দরাবাদে নতুন করে বড়সড় হামলার ছক ফাঁস হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রশাসনের অন্দরেও। তদন্তকারীরা এই ঘটনার সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন