NEPAL
নিজস্ব সংবাদদাতা – নেপালে চলমান মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে তৈরি হয়েছে চরম বন্যা পরিস্থিতি, যা ইতোমধ্যেই জনজীবন ও দেশের পরিকাঠামোগত ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলেছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে একাধিক এলাকায় ধস নেমে পড়েছে, যার ফলে দেশের ১১টি জাতীয় মহাসড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর সঙ্গে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ প্রধান শহরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে কারণ ২১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে পাহাড়ি ঢালু এলাকা এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ধস ও প্লাবনের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি সতর্কতা জারি করে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে এবং বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
যেসব নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কোশি, তমোর, অরুণ, তমাকোশি, দুধকোশি, কানকাই এবং বাগমতী নদী। এছাড়া কাঠমান্ডু উপত্যকা ও আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এই অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি এবং স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা বড় পরীক্ষা। উদ্ধারকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা আগামী কয়েকদিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যাচ্ছে, নেপালের মতো পার্বত্য দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় অবকাঠামো ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দেওয়ার প্রয়োজন।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন