নিজস্ব সংবাদদাতা – হাসিমুখ, সেলফি, বন্ধুত্বের সুর— নিক্কো পার্কের সেই বুধবার সকালটা শুরু হয়েছিল ঠিক এমনই। সাত বন্ধুর দল মেতে উঠেছিল রাইডে, জলে, আনন্দে। কিন্তু দুপুর হতেই পাল্টে যায় ছবিটা।
বন্ধুদের কাঁধে তখন নিথর দেহ— ১৮ বছরের রাহুল, উল্টাডাঙ্গার ছেলে, যার ভবিষ্যৎ মাত্র শুরু হচ্ছিল। জয় রাইডে ওঠার পর কী হল, তা কেউ জানে না স্পষ্টভাবে। হঠাৎই ভেঙে পড়ে দোলনা, আর তার সঙ্গেই ভেঙে পড়ে একটি তরতাজা প্রাণ।
চিৎকার, কান্না, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পার্কজুড়ে। বন্ধুরা দৌড়ে নিয়ে যায় তাঁকে সল্টলেকের হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়ে দেন— সব শেষ।
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ডিসি জানিয়েছেন, রাহুলের শরীর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই মৃত্যু শুধু একটা কাগজের রিপোর্টে শেষ হওয়ার নয়— প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন বারবার ঘটছে বিনোদন পার্কে?
নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, রাহুল ছিলেন সম্পূর্ণ অচৈতন্য অবস্থায়। কিন্তু কেন অচৈতন্য? কীভাবে ঘটল এমন দুর্ঘটনা— কোনো জবাব নেই।
তবে এটিই প্রথম নয়। বছর বছর যেন মৃত্যু ঘুরে বেড়াচ্ছে বিনোদনের ছায়ায়। ২০১২ সালের সেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া রাইডের কথা এখনও স্মরণে। ২০২3-এ মারধর, আর এবার সরাসরি মৃত্যু।
যেখানে মানুষ খুঁজতে যায় আনন্দ, ফিরে আসে কান্না নিয়ে। আর রাহুলের মতো আরও কেউ যেন না হারায়, সেটাই এখন সমাজ ও প্রশাসনের সামনে বড় প্রশ্ন।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন