নিজস্ব সংবাদদাতা – স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা এনজিওর আড়ালে কিভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে, তার ভয়ংকর দৃষ্টান্ত উঠে এল পূর্ব বর্ধমানে। মেমারি থেকে ধৃত দুই ব্যক্তি — মুকেশ রজক ও রাকেশ কুমার গুপ্তা — ছিলেন না কোনো সমাজসেবক, বরং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সরাসরি এজেন্ট।
তাদের প্রধান কাজ ছিল ভারতীয় সিমকার্ড ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করা ও সেই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতের সেনা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য পাকিস্তানে পাঠানো। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি, নকশা ও গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাচার হয়েছে এই দুইজনের মাধ্যমে।
এখানেই শেষ নয়। মুকেশ-রাকেশ শুধু নেটওয়ার্কের ছোট অংশ। গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন একাধিক ‘বস’ যারা ভারতের অভ্যন্তরেই সক্রিয় এবং এই ধরনের চরবৃত্তির মূল কারিগর।
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে, দেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ছিদ্র কতটা গভীরে পৌঁছে গেছে। এনজিও বা সমাজসেবা-র নামেই আজ বহু ক্ষেত্রেই চলতে পারে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। এমনকি সাধারণ মানুষও না জেনে এই চক্রের অংশ হয়ে যেতে পারেন।
‘অপারেশন মীরজাফর’-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এই জাতীয় চরদের একের পর এক ধরতে সক্ষম হলেও, এখন প্রয়োজন আরও কঠোর নজরদারি এবং এনজিও নিয়ন্ত্রক নীতিমালার পুনর্বিবেচনা। কারণ, দেশের নিরাপত্তা আজ শুধু সীমান্তের নয়, শহরের অলিগলিতেও হুমকির মুখে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন