৯ মে ২০২৫,কলকাতা:ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতের তরফে পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চালানো হয় ড্রোন হামলা, যার কোডনেম ছিল অপারেশন ‘সিঁদুর’। এই হামলা পাকিস্তানের অন্তত ১৫টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করে না। রাত নামতেই জম্মু, জয়সলমের-সহ ভারতের সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চালানো হয় ড্রোন ও মিসাইল হামলা। এমনকি পাকিস্তানের ফাইটার জেট JF-17 ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।

তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা আবারও প্রমাণিত হয়। ভারতের অত্যাধুনিক S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের সমস্ত ড্রোন ও মিসাইল হামলা ব্যর্থ করে দেয়। পাশাপাশি ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তানের দুটি JF-17 যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এক পাক পাইলট ভারতীয় সেনার হাতে আটক হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ভারতীয় নৌসেনার শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস ভিক্রান্ত এবার সরাসরি অভিযানে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের করাচি ও ওরমার বন্দরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে আইএনএস ভিক্রান্ত, যার ফলে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলা নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহল এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
উল্লেখযোগ্য দিক:
- ভারতের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোয় বড় ধাক্কা।
- পাকিস্তানের পাল্টা জবাব S-400 দ্বারা প্রতিহত।
- দুই JF-17 ভূপাতিত, এক পাইলট আটক।
- আইএনএস ভিক্রান্তের অভিযানে করাচি বন্দরে সম্ভাব্য বড় ক্ষয়ক্ষতি।
বিশ্লেষণকারীদের মতে, এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা দুই দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল এখন নজর রাখছে দিল্লি ও ইসলামাবাদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন