শনিবার, ১০ মে ২০২৫,কলকাতা:ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান শনিবার ভোররাত থেকে চালু করেছে একটি সামরিক প্রতিঘাত অভিযান, যার নাম ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ (Bunyan Al-Marsus)। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সরকারি সংবাদমাধ্যম পিটিভি ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযান চলাকালীন ভারতের একাধিক কৌশলগত অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
মাঠে কী ঘটছে?
শনিবার ভোররাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। রাজৌরি, উরি এবং আদমপুর এলাকায় পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন সরকারি আধিকারিক-সহ অন্তত তিনজন ভারতীয় নাগরিক। গোলা এসে পড়েছে জম্মুর শম্ভু মন্দিরেও।
নাম ও এর ধর্মীয় ব্যাখ্যা:
‘বুনিয়ান মারসুস‘ বা ‘বুনিয়ান আন মারসুস‘ শব্দগুচ্ছটি এসেছে কোরান শরিফ থেকে। এর অর্থ “শিসার তৈরি শক্ত কাঠামো”। কোরানে বলা হয়েছে, “আল্লাহ তাঁদেরই ভালবাসেন যারা যুদ্ধের ময়দানে তাঁর পথে দাঁড়িয়ে থাকে শিসার তৈরি প্রাচীরের মতো দৃঢ়ভাবে।” পাকিস্তান এই ধর্মীয় অনুপ্রেরণাকে সামনে রেখেই অভিযানের নামকরণ করেছে।

পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী আঘাতের মূল পয়েন্টসমূহ:
হামলার লক্ষ্য | বিশদ বিবরণ |
---|---|
বিদ্যুৎ পরিকাঠামো | ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিডে সাইবার হামলা, ৭০% গ্রিড অকার্যকর বলে দাবি। |
এস-৪০০ ধ্বংস | আদমপুরে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জেএফ-১৭ বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। |
গোয়েন্দা কেন্দ্র | রাজৌরিতে ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা। |
কেজি টপ ব্রিগেড | ভারতের কৌশলগত সেনা সদর দফতরে হামলা। |
সরবরাহ গুদাম ও আকাশসীমা | উরি, উধমপুর, পঠানকোট, সুরাতগড়, বিয়াসে গুদাম ও ব্রহ্মস মিসাইল স্টোরেজ লক্ষ্য। |
পটভূমি:
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও অঞ্চলে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক। তার প্রেক্ষিতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপরেই পাকিস্তান শনিবার ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ ঘোষণা করে।
উপসংহার:
ভারত-পাকিস্তানের এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দুই দেশের সাধারণ নাগরিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, এই উত্তেজনা সংঘাতে গড়াবে না কি কোনও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে স্থিতি ফিরে আসবে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন