সিকিম রাজ্য দিবসের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিহারে রোড শো, কানপুরে শহিদের পরিবারকে সাক্ষাৎ এবং ভোপালে সর্বমহিলা সমাবেশ—সবকিছুতেই থাকবে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বার্তা।
নয়াদিল্লি | ২৮ মে, ২০২৫
২৯ মে থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন দিনের ভারতব্যাপী সফরে যাচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছে সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ। এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে, বিশেষত বিহারে মোদীর বক্তব্য ঘিরে, যেখানে তিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের—অপারেশন সিন্দুর—বার্তা তুলে ধরবেন।
সফরের সূচনা: সিকিম রাজ্য দিবস
সফরের প্রথম দিন, অর্থাৎ ২৯ মে সকাল ১০:৪৫ নাগাদ, প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছাবেন সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। পালজর স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি, যেখানে সিকিমের রাজ্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে।
দুপুরে বাংলায় মোদী
একই দিন দুপুরে আলিপুরদুয়ার, পশ্চিমবঙ্গে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন মোদী। নির্বাচনের মুখে বাংলার উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশে তাঁর বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রোড শো বিহারে, বার্তায় অপারেশন সিন্দুর
২৯ মে সন্ধ্যায় মোদী পৌঁছাবেন পাটনায়। সেখানে নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন এবং সেখান থেকেই বিজেপি সদর দফতর পর্যন্ত রোড শো-এ অংশ নেবেন। এই রোড শো চলাকালীন তিনি অপারেশন সিন্দুর নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরবেন, যেখানে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের।
বিহারে দ্বিতীয় দিন, তারপর উত্তরপ্রদেশ
৩০ মে সকালেই প্রধানমন্ত্রী পৌঁছাবেন বিহারের ভক্তিয়ারপুর, যেখানে এক বিশাল জনসভা হবে। সেখান থেকেই আবারও অপারেশন সিন্দুর প্রসঙ্গে বার্তা দেবেন তিনি। এরপর রওনা দেবেন কানপুর, উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে। কানপুরে তিনি পহেলগাম হামলায় শহিদ শুবম দ্বিবেদীর পরিবার-কে সাক্ষাৎ করবেন এবং একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফরের শেষ দিন ভোপালে
শেষ দিনে অর্থাৎ ৩১ মে, প্রধানমন্ত্রী যাবেন ভোপাল, মধ্যপ্রদেশে। সেখানে একটি সর্বমহিলা জনসভা-তে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সূত্রের দাবি, এই জনসভায় মহিলা ক্ষমতায়ন ও জাতীয় নিরাপত্তা—দুই ক্ষেত্রেই বার্তা দেওয়া হবে।
উপসংহার:
এই সফর শুধুমাত্র প্রচার নয়, বরং ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানকে জোরদার করার প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ভোটের আগে এই সফর মোদীর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিরোধীদের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানাতে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
