নিজস্ব সংবাদদাতা- একটি এলইডি স্ক্রিন, কিছু আনন্দঘন অ্যানিমেশন ভিডিও, আর একটু পরিকল্পিত পুষ্টিকর আহার—এই ছোট ছোট ব্যবস্থাগুলিই বদলে দিচ্ছে মালদহ জেলার শিশুদের জীবনের ছক। ‘সক্ষম’ অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের আওতায় ৬৫০টি সেন্টারে শিশুদের মধ্যে শিক্ষা ও পুষ্টির যে রূপান্তর ঘটছে, তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের অন্যান্য জেলার জন্য অনুকরণীয়।
দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলিতে অব্যবস্থা, পরিকাঠামোর অভাব, অনুপস্থিতি এবং খাবার বিতরণে অনিয়ম—সব মিলিয়ে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেই জায়গায় ‘সক্ষম’ সেন্টারগুলিতে প্রশাসনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এনে দিয়েছে স্বচ্ছতা, উৎসাহ ও সিস্টেম।
শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এলইডি স্ক্রিনে ভিডিওর মাধ্যমে খেলার ছলে শেখা—এই যুগোপযোগী পাঠদানের পদ্ধতিই শিশুদের কেন্দ্রমুখী করেছে। তাদের শিখন প্রক্রিয়ায় এসেছে মজা, এসেছে আগ্রহ। আগে যেখানে মা এসে শুধু খাবার নিয়ে যেতেন, এখন বাচ্চারা নিজের হাতে খাচ্ছে, আর তার মধ্য দিয়েই ‘স্পট ফিডিং’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আর্থিক সহায়তায় প্রতিটি সেন্টারে আধুনিক সরঞ্জাম যেমন এলইডি টিভি, ওয়াটার পিউরিফায়ার, বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে। সংস্কারেও খরচ হয়েছে যথাযথ। ফলাফল হিসেবে শিশুর উপস্থিতি এখন ৯০ শতাংশের বেশি।
ব্লকভিত্তিক পরিসংখ্যানেও উঠে আসছে এই উদ্যোগের বিস্তার—চাঁচল, হবিবপুর, রতুয়া, বামনগোলা থেকে গাজোল—প্রতিটি ব্লকে প্রতিফলিত হচ্ছে শিশুকেন্দ্রিক উন্নয়নের স্পষ্ট ছাপ।
এই প্রকল্প দেখিয়ে দিচ্ছে, যদি পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা থাকে, তাহলে অল্প খরচেও শিশুশিক্ষা ও পুষ্টির ক্ষেত্র বদলে দেওয়া সম্ভব। ‘সক্ষম’ প্রকল্প তাই কেবল একটি জেলা স্তরের প্রকল্প নয়, বরং এটি একটি সম্ভাবনার পথ—যা হয়তো ভবিষ্যতের রাজ্য বা জাতীয় নীতির ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন