কলকাতা | ২৬ মে, ২০২৫
ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post) বড়সড় পরিবর্তনের পথে। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতা ও তার আশেপাশের শহরতলী অঞ্চলের একাধিক পোস্ট অফিস বন্ধ করে নিকটবর্তী বড় ডাকঘরের সঙ্গে একত্রীকরণ (Merge) করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ডাক বিভাগের কর্মীরা ও সাধারণ গ্রাহকরা। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক ও যারা এখনও অফলাইন চিঠিপত্র বা ম্যানুয়াল পরিষেবা ব্যবহার করেন।
কোন পোস্ট অফিসগুলি বন্ধের তালিকায় থাকতে পারে?
সূত্র অনুযায়ী, কলকাতা সহ শহরতলীর নিচের ডাকঘরগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে একত্রীকরণের তালিকায় রয়েছে:
- কাস্টমস হাউস
- সোনাই
- তারাতলা রোড
- সাধনা ঔষধালয়
- ওয়াটগঞ্জ
- বসপুকুর রোড
- কেসি মিলস
- তিলজলা বাজার
- পার্ক সার্কাস
- ঝাউতলা
- জোড়ামন্দির
- রাজাবাগান
- পিএসডি
- বারাকপুর বাজার
- দক্ষিণ বেলঘড়িয়া
এই পোস্ট অফিসগুলোকে নিকটবর্তী প্রধান ডাকঘরের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। লক্ষ্য একটাই—ব্যয় হ্রাস ও প্রশাসনিক সরলতা।

কর্মীদের ক্ষোভ: “এটি সংকোচন, নয় সংস্কার!”
পোস্ট অফিসগুলিকে একত্র করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ডাক বিভাগের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য:
“এটি একটি সংকোচনের সিদ্ধান্ত, সংস্কারের নয়। এতে শুধু কর্মীদের কাজের সুরক্ষা নয়, সাধারণ গ্রাহকেরও অসুবিধা বাড়বে।”
কর্মীদের একাংশ আরও জানিয়েছেন—
- অনেক বয়স্ক মানুষ বা গ্রামের মানুষ যারা এখনও ডাকঘরের পরিষেবার উপর নির্ভর করেন, তাদের জন্য দূরের পোস্ট অফিসে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
- যেসব এলাকায় পোস্ট অফিস নেই, সেখানে নতুন অফিস খোলার বদলে পুরনো অফিস বন্ধ করে দেওয়া পুরোপুরি অন্যায়।
ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্দেশ্য কী?
ডাক বিভাগ চাইছে—
- প্রশাসনিক ব্যয় কমানো
- লোকবল ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার
- কম কাজের অফিসগুলিকে বড় অফিসের সাথে যুক্ত করা
তবে এই রিস্ট্রাকচারিং সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন