নিজস্ব সংবাদদাতা – বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষের এক মুহূর্তও চলে না। গ্রীষ্মের দাবদাহ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এরই মাঝে স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল অসন্তোষ। একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকেই হু হু করে বেড়েছে তাঁদের বিদ্যুৎ বিল। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছে।
বুধবার বিধানসভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এক বড় ঘোষণা করে জানান, বাংলার কোনও বাড়িতে আর স্মার্ট মিটার বসানো হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কিছু জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হলেও, গ্রাহকদের কাছ থেকে একের পর এক অভিযোগ আসায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিদ্যুৎ দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অরূপ বিশ্বাস জানান, যেসকল বাড়িতে ইতিমধ্যে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে, সেগুলিকে আগের পোস্ট-পেইড মিটারের মতোই গণ্য করা হবে এবং সেইভাবেই বিল নেওয়া হবে। এর ফলে গ্রাহকরা আগের মতো বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। হুগলি জেলার ব্যান্ডেল-সহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হন। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, রাজনৈতিক দলগুলিও নেমে পড়ে এই ইস্যুতে। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা করে পথে নামে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, যতদিন না সমস্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন রাজ্যে আর কোনও স্মার্ট মিটার বসানো হবে না। এরপর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী নিশ্চিত করলেন, বাংলার কোনও বাড়িতে আর স্মার্ট মিটার বসানো হবে না।
এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ রাজ্যবাসীর স্বার্থরক্ষায় এক সাহসী পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেই আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন