SSC Recruitment
কলকাতা | ৩০ মে ২০২৫:
এক দিনের আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বহু প্রতীক্ষিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। আজ সকালে এসএসসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়মাবলী ও যোগ্যতার শর্ত।
নতুন নিয়মে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও ক্লাসরুমে দক্ষতা প্রদর্শনের ওপর। তবে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা এখনও এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে অনাগ্রহী।
নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মূল পয়েন্টগুলি:
আবেদন শুরু: ১৬ জুন ২০২৫
আবেদনের শেষ দিন: ১৪ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টার মধ্যে
লিখিত পরীক্ষা সম্ভাব্য তারিখ: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ
ফলাফল প্রকাশ: অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহ
ইন্টারভিউ: নভেম্বরের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ
চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর
কাউন্সেলিং ও নিয়োগ প্রস্তাব: ২৯ নভেম্বর
নিচের বিজ্ঞপ্তি দেখুনঃ
নম্বর বিভাজনে বড় রদবদল
এই বছর থেকে নম্বর বিভাজনে বড় পরিবর্তন এনেছে এসএসসি।
লিখিত পরীক্ষা:
আগে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষার পরিবর্তে এবার হবে ৬০ নম্বরের।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
আগে যেখানে ছিল ৩৫ নম্বর, সেখানে কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
অ্যাকাডেমিক নম্বরের গুরুত্ব হ্রাস:
এবার প্রার্থীর একাডেমিক পারফরমেন্স কম হলেও, ডেমো ক্লাসে দক্ষতা থাকলে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ দক্ষতা প্রমাণই হবে মূল চাবিকাঠি।
বয়সসীমা:
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য।
আবেদন ফি:
সাধারণ ও ওবিসি প্রার্থীদের জন্য: ₹৫০০
SC/ST/প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য: ₹২০০
ফি জমা দেওয়ার শেষ সময়: ১৪ জুলাই রাত ১২টা

স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নতুন পদক্ষেপ
চাকরি প্রার্থীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণকারীদের উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই পদক্ষেপ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চলছে প্রতিবাদও, সরকারে রিভিউ পিটিশন
যদিও এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তবুও চাকরিচ্যুত শিক্ষক আন্দোলনকারীরা এখনও পরীক্ষা দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, পূর্ববর্তী দুর্নীতিগ্রস্ত নিয়োগ বাতিল না করে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি মানা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী সকলকে প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানালেও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
উপসংহার
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা স্বপ্ন দেখাচ্ছে বহু শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের। তবে আন্দোলন, আইনি চ্যালেঞ্জ এবং রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে, তা সময়ই বলবে।
আপনার মতামত দিন: আপনি কী মনে করেন, নতুন নম্বর বিভাজন ও নিয়ম ন্যায্য? নাকি এটি আন্দোলনকারীদের দাবি এড়ানোর কৌশল?
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন