ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অতিরিক্ত কর আদায় বন্ধে কড়া পদক্ষেপ, পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশে স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা

Spread the love

কলকাতা | ৩০ মে ২০২৫:

রাজ্যে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স আবশ্যিক। কিন্তু সম্প্রতি এই ট্রেড লাইসেন্স তৈরি ও নবীকরণ নিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে আসছে। এমনকি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে নবান্নে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এবার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে একটি কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা: অতিরিক্ত কর একেবারে নয়

গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেড লাইসেন্সের নামে বাড়তি টাকা আদায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, “কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যবসায়ীদের ওপর অতিরিক্ত কর চাপানো যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরই দপ্তর থেকে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।

পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের বিজ্ঞপ্তির মূল নির্দেশাবলি:

ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে, তবে বাড়তি কোনও টাকা নেওয়া যাবে না।
নতুন লাইসেন্স ও নবীকরণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
আবেদন ফি বা প্রসেসিং ফি-এর নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
সুনির্দিষ্টভাবে সর্বোচ্চ কর সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

কত টাকা ধার্য করা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স বাবদ?

সাধারণ পুরসভা, নোটিফায়েড এরিয়া ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ এলাকায়:
সর্বাধিক ₹১৫০০ বছরে

কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুর পুর এলাকায়:
সর্বাধিক ₹২৫০০ বছরে

নবীকরণের ক্ষেত্রেও ধার্য ফি ছাড়া এক টাকাও বেশি নেওয়া যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিটি ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী আগের তুলনায় কম খরচে এবং কম হয়রানিতে ট্রেড লাইসেন্স পেতে পারবেন বলে আশাবাদী।

উপসংহার:

ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ ও দপ্তরের নির্দেশিকা — দুই মিলেই রাজ্যের ব্যবসায়িক পরিকাঠামোয় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমনটাই আশা।

আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds