একটি জীবন, ২৭৪ প্রাণহানির মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা যাত্রী বললেন, “মৃত্যু আমার ছায়ার মতো ছিল”

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা – চারিদিকে আগুন, ধোঁয়া, কান্নার আর্তনাদ—তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি, রক্তাক্ত শরীর নিয়ে, জীবনের এক অসম্ভব বাস্তবতার সাক্ষী হয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া AI-171 ফ্লাইটটি ভেঙে পড়ার পর, ২৭৪ জনের মৃত্যু হলেও বেঁচে ফেরেন একজন—বিশ্বকুমার রমেশ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিক।

সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তে বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের ভবনে আছড়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই লন্ডনযাত্রা রূপ নেয় ভয়ংকর এক মৃত্যু মিছিলে। ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন বিমানে। মৃত্যু ঘটে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিরও। স্থানীয় বাসিন্দারাও দুর্ঘটনার বলি হন।

বিমানের ভাঙা টুকরোর নিচে চাপা পড়ে বহু ঘরবাড়িও ধ্বংস হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে পৌঁছান আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে, কথা বলেন আহতদের সঙ্গে।

আজ হাসপাতালে শুয়ে রমেশ বলেন, “আমি জানি না কীভাবে বেঁচে আছি। শুধু একটা বিস্ফোরণ আর তারপর সব অন্ধকার।”

এই দুর্ঘটনা ভারতের বিমান ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে DGCA। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।

আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্বধারা – সত্যের সন্ধানে, আপনার সাথে


বিশ্বধারা - সত্যের সন্ধানে অবিচল,

আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাইরের নিরপেক্ষ সংবাদে আমরা নিবেদিত। স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতাই আমাদের মূল ভিত্তি। আমাদের সাথে থাকুন, সঠিক তথ্য জানুন।

This will close in 11 seconds