কলকাতা: ভারতের ‘অপারেশন সিন্দূর’ সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের পর তুরস্ক ও আজারবাইজান যে ভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে, তা নিয়ে ভারতীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুরস্ক ও আজারবাইজান বয়কট আন্দোলন, যার প্রতিক্রিয়া পড়তে শুরু করেছে বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে।
বয়কটের ডাক এবং তার প্রভাব
EaseMyTrip, Ixigo, Cox & Kings-এর মতো নামী ভারতীয় ট্র্যাভেল সংস্থাগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজানের জন্য সমস্ত বুকিং বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় আবেগের প্রতি সংহতি জানিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তুরস্কের আপেল, মার্বেল সহ একাধিক পণ্যের আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। CAIT (Confederation of All India Traders) এই বয়কট আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে একটি সর্বভারতীয় অর্থনৈতিক বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।

সমর্থনের পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
তুরস্ক ও আজারবাইজান প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতের সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে। শুধু তাই নয়, জানা গেছে যে তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে, যা ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের জনগণ এবং ব্যবসায়ী সমাজ এই দুই দেশের প্রতি ক্ষুব্ধ।
আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা
এই বয়কট আন্দোলনের ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
- ভারত-তুরস্ক বাণিজ্য বছরে প্রায় ১০.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- ভারতীয় পর্যটকদের তুরস্কগমন প্রতি বছর প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি করে।
এই অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখন চরম সংকটে।
জাতীয় স্বার্থে জনগণের ভূমিকা
ভারতের জনগণ এই বয়কট আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে #BoycottTurkey #BoycottAzerbaijan ট্রেন্ড করছে। দেশবাসীর দাবি, যারা সন্ত্রাসবাদের সমর্থন করে বা ভারতের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখা উচিত নয়।
উপসংহার:
তুরস্ক ও আজারবাইজান নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন না করলে, ভারতের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক ও পর্যটন সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদে ভেঙে পড়তে পারে। ভারতের জনগণ এখন স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন — “রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থানে যারা, তাদের জায়গা ভারতের বাজারে নেই।”
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন