নিজস্ব সংবাদদাতা- রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও অশিক্ষক কর্মীদের অসন্তোষের আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে। যদিও কয়েক সপ্তাহ শান্ত ছিল পরিস্থিতি, সোমবার ফের রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি এবং হুঁশিয়ারি—সব মিলিয়ে অশিক্ষক কর্মীদের ক্ষোভ এবার সংঘবদ্ধ রূপ নিচ্ছে।
মূল ইস্যু একটাই—তপন নাগ নামে এক অশিক্ষক কর্মীর সাসপেনশন এবং প্রশাসনের ‘টালবাহানা’। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে আন্দোলনে থাকা কর্মীদের দাবি, বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও উপাচার্য কোনও স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছেন না। বরং তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরই নিশানা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদিও দৃঢ় অবস্থানে। তাঁর মতে, নিয়ম মেনে তদন্ত চলছে। তবে তাঁর বক্তব্যে প্রশাসনিক অসহায়তার ইঙ্গিত স্পষ্ট—”একাংশ যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকায় ঠেলে দিতে চান, আমি একা কিছু করতে পারব না।”
এই টানাপোড়েনের মাঝে প্রশ্ন উঠছে—একজন কর্মীর সাসপেনশন কি প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে, নাকি এটি একটি গভীরতর প্রশাসনিক সংকটের চিহ্ন?
অন্যদিকে, নিরাপত্তা টেন্ডার বাতিল-সহ আরও কিছু দাবিও আন্দোলনের অংশ। সংগঠনের বক্তব্য, এসব দাবি একাধিকবার জানানো হলেও প্রশাসন কার্যত নীরব। ফলে আসন্ন আন্দোলন কেবল একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক দাবি নয়, বরং গোটা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
নিয়মিত বাংলা সংবাদের আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন