কলকাতা: ২০২৫ সালে বিনোদন জগতে সুখবরের পরিবর্তে শোকের খবর চলছেই। সম্প্রতি স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গ। তাঁর এই অকাল মৃত্যুর খবর পুরো বলিউডে শোকের ছায়া নেমেছে।
জুবিন গর্গের কেরিয়ার ও কৃতিত্ব
জুবিন গর্গ সঙ্গীত জগতে অসাধারণ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর কেরিয়ারে তিনি ৩২,০০০-এরও বেশি গান রেকর্ড করেছিলেন এবং ৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন। বলিউডে “গ্যাংস্টার” ছবির “ইয়া আলি” গানটি তাকে দেশের কোণাকুণে পরিচিতি এনে দেয়। জুবিন শুধু গায়কই ছিলেন না; তিনি একজন সুরকার, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতা হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি “মন জয়” এবং “মিশন চায়না” এর মতো অসমীয়া ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে “কিসমত” ছবির “দিলরুবা” গানের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
জুবিন গর্গের সম্পদ ও জীবনধারা
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৪ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০-৬৫ কোটি টাকা। জুবিন বিলাসবহুল গাড়ি ও মোটরসাইকেলের প্রেমিক ছিলেন। তাঁর কাছে ছিল BMW X5, মার্সিডিজ-বেঞ্জ, রেঞ্জ রোভার ভেলার এবং কাস্টম-কোটেড ইসুজু SUV। এছাড়া তিনি সামাজিক কাজেও সক্রিয় ছিলেন। তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ছিল সঙ্গীত, লাইভ কনসার্ট, সিনেমা এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট।
জুবিন গর্গের প্রাথমিক জীবন
জুবিন গর্গ ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরার বোরঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মোহিনী বোরঠাকুর একজন গীতিকার, মা ইলি বোরঠাকুর একজন নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা ছিলেন। জুবিন ১৯৯২ সালে সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে বেছে নেন এবং একই বছর প্রথম অ্যালবাম “অনামিকা” প্রকাশ পায়, যা তাকে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় জগতে পরিচিতি দেয়।
জুবিন গর্গের অকাল মৃত্যু সঙ্গীতপ্রেমী ও শিল্পজগতে গভীর শোক তৈরি করেছে।